চিত্ত ও বিত্তশীল নিয়ে তহবিল

করোনা আক্রান্ত রোগী দিন দিন বিশ্বে বা দেশে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে, অসহায়ত্ব ও বাড়ছে। আশেপাশের মানুষের আহাজারিতে বাংলাদেশের আকাশ দিন দিন ভারি হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি চাইলে আমনরা নিজেদের জায়গা থেকে নিজেরাই সংকট মোকাবিলা করতে পারি।

এই পর্যায়ে আমার ব্যাক্তিগত কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরছি –

  • ? নিজ নিজ পাড়া বা মহল্লায় যারা বিত্তশীল ও চিত্তশীল সবার অংশ গ্রহনে তহবিল গঠন করে উপহার বা ত্রাণ বন্টন করা।
  • ? সামাজিক/কল্যাণমূলক/সমবায়সমিতি/শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড নামে কিছু কিছু সংগঠন এক হয়ে তহবিল গঠন করতে পারে।
  • ? এলাকার তরুণ, যুবসমাজকে দিয়ে উপকারপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরী করা ও বন্টন করা।

প্রস্তাবনা আলোকে বলতে পারি- এভাবেই যদি নিজ নিজ অংশ গ্রহণ বাড়াতে পারি তাহলে প্রকৃত উপকাভোগীরাই উপহার বা ত্রাণ পাবে, বন্টনে কোন অনিয়ম হবে না, দুর্নীতি বন্ধ হবে, নিজেদের এলাকা নিজেই সুরক্ষিত করতে পারবো এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে।

গত কয়েক দিন ধরে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি বিষয় পরিলক্ষিত হয় যা –
করোনা আক্রান্ত পিতার লাশ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ না করে সন্তানরা চলে গেলো তবে মৃত্যু সনদ নিতে ভূলেনি কারণ পেনশনভোগী হবে বলে।
রাস্তায় পড়ে থাকা লাশ করোনা রোগী ভেবে আত্বীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী ধরতে না যাওয়া।
করোনা আক্রান্ত রোগী ভেবে মৃত পিতাকে জঙ্গলে রেখে আসা।
করোনা আক্রান্ত শিশুর লাশ মায়ের কোলে ও বাবার কাঁদে করে দাফন করা।

উপরের চিত্রে বিশ্লেষণ করলে – আমরা মানুষের রুপে কতোটা হিংস আচরণ করছি তা ফুঠিয়ে উঠছে। মানুষের জীবনে প্রয়োজনের তাগিদে সম্পদের দরকার কিন্তু অঢেল সম্পদের প্রয়োজন নাই। সবচেয়ে প্রয়োজন ভালোবাসার, যা সম্পদের চেয়েই বেশী কার্যকরী, মায়ের কোল ও বাবার স্নেহরূপ দেখেই আশান্বিত হয় আমরা এখনো মানবিক। তবে অবৈধ সম্পদই আমাদের অমানবিকতা শিক্ষা দিচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা সংক্রমণে মৃতদের মরদেহ নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার শরীর থেকে ভাইরাস অন্য কারও দেহে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। করোনাভাইরাস আক্রমণে মূলত শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই মৃত ব্যক্তির থেকে এই ভাইরাস অন্য কারও শরীরে ছড়ানের সম্ভাবনা নেই।

আসুন আতঙ্ক নয়, মৃত স্বজনকে সম্মান জানাই। নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী মৃতদেহ জানাজা, দাফন বা সৎকার করা যাবে। আমরা জাগলেই সুস্থ হবে পৃথিবী।

সতর্ক হই, সঠিক তথ্য জানি, স্বাস্থবিধি মেনে চলি, নিরাপদ থাকি।
#Stay_Home
#Stay_Safe

লেখক
বাহাউদ্দীন বাহার
সাবেক ছাত্রনেতা ও উন্নয়ন কর্মী
baharcou2009@gmail.com